Header Ads

Study abroad in Spain

ডিমের কুসুম কি সত্যি ক্ষতিকর?

 ডিমের কুসুম কি সত্যি ক্ষতিকর?


সহজে তৈরি করা যায় এমন খাবারের তালিকা করা হলে উপরের দিকেই থাকবে ডিমের নাম। এটি বেশিরভাগ মানুষের কাছে পছন্দের একটি খাবার। অনেকে আবার ডিমের থেকেও বেশি ডিমের কুসুম খেতে পছন্দ করেন। এদিকে ডিমের কুসুম খাওয়ার ক্ষেত্রে নানা নিষেধ শুনতে পাওয়া যায়।

বলা হয়ে থাকে, যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে তাদের ডিমের কুসুম এড়িয়ে চলা উচিত। অনেক সময় রক্তে কোলেস্টেরল বেশি হলে ডিম খেতে বারণ করা হয়। শরীরে ব্যথা বেশি হলেও ডিম এড়িয়ে চলতে বলা হয়। এদিকে ডিম শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিনের একটি ভালো উৎস হিসেবে কাজ করে। তাহলে কী করবেন?

ডিম বা ডিমের কুসুম নিয়ে প্রচলিত সব ধারণাই যে সত্যি, তা কিন্তু নয়। বরং কিছু ভুল ধারণাও প্রচলিত রয়েছে। ডিমের কুসুম যারা খেতে পছন্দ করেন কিন্তু নিষেধের জন্য খেতে পারছেন না, তাদের মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে যে ডিমের কুসুম কি আসলেই ক্ষতিকর? ডিম কিন্তু আসলে স্যাচুরেটেড ফ্যাট, এর থেকে ক্ষতির সম্ভাবনা খুব কম। জেনে নিন বিস্তারিত-


ডিম খেলে কি রক্তে কোলেস্টেরল বাড়ে?

কোলেস্টেরল হতে পারে শরীরের খারাপ ফ্যাটের কারণে। এদিকে ডিম কিন্তু উপকারী ফ্যাটের উৎস। ডিম কিংবা কুসুম অল্প করে খেলে তেমন কোনো ক্ষতি হয় না। বরং ডায়েট অনুযায়ী খেলে এটি উপকারী হিসেবেই বিবেচিত হয়। এটি শরীরের পক্ষে ভালো কাজ করে, তাই ডিম কোলেস্টেরলের ক্ষেত্রে খুব একটা ক্ষতিকর নয়।

ডিম পুরোপুরি সেদ্ধ না করে খাওয়া যাবে কি?

অনেকেই এটি বিশ্বাস করেন যে ডিম ভালোভাবে সেদ্ধ না করে খেলেও কোনো ক্ষতি হয় না। কিন্তু এটি মোটেই ঠিক নয়। ডিম ভালোভাবে সেদ্ধ না করলে এর ভেতরে থাকা জীবাণু বেঁচে থাকে। এটি অনেক সময় হতে পারে বার্ড ফ্লুর মতো রোগের কারণ। তাই ডিম সব সময় ভালোভাবে সেদ্ধ করে খেতে হবে। কাঁচা কিংবা আধা সেদ্ধ কুসুম এড়িয়ে চলবেন।


ডিম ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে?

বেশিরভাগেরই ধারণা হলো, ডিম খেলে দ্রুত ওজন বাড়ে। এটিও ভুল তথ্য। এর কারণ হলো ডিমের কুসুমে থাকে সবচেয়ে বেশি প্রোটিন এবং সামান্য কোলেস্টেরল। তাই এটি ওজন বাড়াতে ভূমিকা রাখে না। এর বদলে ওজন কমাতে পারে, কারণ ডিম খেলে তা দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে। এতে বারে বারে ক্ষুধা লাগে না।

গরমে ডিম খাওয়া যাবে কি?

গরমে ডিম খাওয়া নিয়ে নানা মত জানতে পারবেন। কিন্তু সত্যিটা হলো, গরমেও ডিম খাওয়া যাবে এবং এটি উপকারী মিনারেলস এবং ভিটামিন এ এবং ডি এর উৎস। এছাড়াও ডিমে পাবেন ফ্যাটি অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম ইত্যাদিও। গরমের সময়ে এসব উপাদান শরীরের জন্য বেশি প্রয়োজনীয়। তাই ডিম খান সারা বছরই।


No comments

Theme images by konradlew. Powered by Blogger.