Header Ads

Study abroad in Spain

বায়ার্নকে বিদায় করে ১৬ বছর পর সেমিতে ভিয়ারিয়াল

 বায়ার্নকে বিদায় করে ১৬ বছর পর সেমিতে ভিয়ারিয়াল


চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এর আগের লড়াইয়েই ভিয়ারিয়াল বিদায়ঘণ্টা বাজিয়েছিল জুভেন্তাসের। তার ঠিক পরেই বায়ার্নকেও বিদায় করে দেবে, সেই স্বপ্নটা নিশ্চয়ই কোনো পাঁড় 'ইয়েলো সাবমেরিনের' চোখেও খেলে যায়নি। 

সে অভাবনীয় কাজটাই করে বসেছে উনাই এমেরির শিষ্যরা। সামগ্রিক লড়াইয়ে ২-১ গোলের জয় তুলে নিয়েছে বায়ার্নের বিপক্ষে। তাতে এক মৌসুম আগের শিরোপাজয়ী বায়ার্নকে বিদায় করে ইয়েলো সাবমেরিনরা ১৬ বছর পর পাড়ি জমাল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে।

প্রথম লেগের জয়ের ফলে বায়ার্নের মাঠে একটা গোলশূন্য ড্র হলেও চলত ভিয়ারিয়ালের। প্রতিপক্ষ যখন বায়ার্ন, তখন সফরকারীদের রক্ষণাত্মক ফুটবলকেই মনে হচ্ছিল ম্যাচের নিয়তি। তবে কোচ উনাই এমেরি শুরু থেকে দলকে সে পথে হাঁটাননি। রক্ষণে মনোযোগ ছিল অবশ্যই, প্রতি আক্রমণে বায়ার্ন রক্ষণেও ত্রাস ছড়িয়েছে বেশ। প্রথমার্ধের শেষ পাঁচ মিনিটে আর্নাউ দানজুমা আর জেরার্ড মোরেনো দারুণ দুটো সুযোগ নষ্ট না করলে তখনই গোলের দেখা পেয়ে যেত ভিয়ারিয়াল। 

এর আগে বায়ার্নও চেষ্টা কম করেনি। তবে আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক হেরোনিমো রুলির গোটা কয়েক সেভ সেসব আক্রমণকে আলোর মুখ দেখতে দেয়নি। ফলে গোলশূন্যভাবেই শেষ হয় প্রথমার্ধ। 

রুলি শুরুর ৪৫-৫০ মিনিট দলকে বিপদমুক্ত রাখলেও ৫২ মিনিটে আর পারেননি। বক্সের একটু ভেতর থেকে সুযোগটা পেয়েই আগুনে এক শটে গোল পেয়ে যান রবার্ট লেভান্ডভস্কি। 

গোলের পরের বিশ মিনিট মাঝমাঠে আধিপত্য ছিল বায়ার্নের। বল হারালেই সাঁড়াশি আক্রমণের মাত্রা বাড়ছিল ক্রমেই। ৭৫ মিনিটে এক প্রতি আক্রমণে যে ধারাটা ভাঙে ভিয়ারিয়াল। এরপর ৮২ আর ৮৬ মিনিটে দুটো সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি দলটি। পারল ৮৮ মিনিটে, প্রতি আক্রমণে উঠে এসে দারুণ এক গোল করে বসেন স্যামুয়েল চুকওয়েজি। 

সেই এক গোলই বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে দেয় বায়ার্নের। পরের দুই আর যোগ করা চার মিনিটে চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞায় রক্ষণ সামলে বিষয়টা নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়ে এমেরির শিষ্যরা। এর ফলে ২০০৫-০৬ সালের পর আবারও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে জায়গা করে নেয় স্প্যানিশ দলটি৷ 

No comments

Theme images by konradlew. Powered by Blogger.