Header Ads

Study abroad in Spain

নাতির মরদেহ কোলে নিয়ে রেললাইনের পাশে কাঁদছেন দাদি

 নাতির মরদেহ কোলে নিয়ে রেললাইনের পাশে কাঁদছেন দাদি


অটোরিকশায় ট্রেনের ধাক্কায় নানা ও মায়ের সঙ্গে নিহত হয়েছে দুই বছরের শিশু তাওহীদ। তার মরদেহ কোলে নিয়ে রেললাইনের পাশে বসে বিলাপ করছেন দাদি রেজিয়া বেগম। রেললাইনের ওপর পড়ে আছে নিহত তাওহীদের দুধের ফিডার। দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া অটোরিকশাটি পড়ে আছে রেললাইনের পাশে। 

সোমবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার হাতিয়া এলাকায় গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। 

কয়েক দিন আগে তাওহীদ মা তাহমিনার সঙ্গে নানার বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিল। সোমবার দুপুরে অটোরিকশায় বাড়ি ফেরার পথে টাঙ্গাইলের কালিহাতীর হাতিয়া এলাকায় অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় নানা ও মায়ের সঙ্গে মৃত্যু হয় তার।  

নিহতরা হলেন- ঘাটাইল উপজেলার কদমতলীর গারট্ট এলাকার আব্দুল হামিদ মিয়ার ছেলে তায়েবুল হোসেন (৫৫), তার মেয়ে তাহমিনা (২৫) ও নাতি তাওহীদ (২)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অটোরিকশাটি যখন অরক্ষিত রেলক্রসিং পার হচ্ছিল তখন অটোরিকশার চালক ট্রেনটি দেখতে পায়নি। হঠাৎ বিকট শব্দে দ্রুতগতির জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেন অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দিয়ে রেলক্রসিং থেকে তিনশ মিটার দূরে ফেলে দেয়। এতে অটোরিকশাতে থাকা বাবা, মেয়ে ও নাতি মারা যায়

নিহত তাওহীদের দাদি রেজিয়া বেগম বলেন, কয়েকদিন আগে তাহমিনা তার ছেলে তাওহীদকে নিয়ে ঘাটাইলে বাবার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। দুর্ঘটনার পর নিহত ছোট্ট তাওহীদকে ঘটনাস্থল থেকে বাড়িতে নিতে চেয়েছি। কিন্তু পুলিশ নিতে দেয়নি। এইটুকু শিশুর কী ময়নাতদন্ত করবে।

টাঙ্গাইল রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সাইফুল ইসলাম বলেন, অটোরিকশাটি হাতিয়ার অরক্ষিত রেলক্রসিং পার হতে গিয়ে ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লাগায় ঘটনাস্থলে শিশুসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় শিশুটির মাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তারও মৃত্যু হয়। মরদেহগুলো আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।


No comments

Theme images by konradlew. Powered by Blogger.