Header Ads

Study abroad in Spain

দেশীয় সেসব ফল পুষ্টিগুণে ভরপুর।

  দেশীয় সেসব ফল পুষ্টিগুণে ভরপুর।


আমরা যেসব খাবার খাই, তার প্রভাব পড়ে আমাদের শরীরে। বিশেষজ্ঞরা সব সময় পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন। খাবার থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণ করে আমাদের শরীর। বছরের এই সময়ে বিভিন্ন ফল পাওয়া যায়। দেশীয় সেসব ফল পুষ্টিগুণে ভরপুর। এর মধ্যে আমের কথা আলাদা করে না বললেই নয়। অনেকেই সারা বছর অপেক্ষা করে থাকেন সুস্বাদু এই ফলের জন্য।

আম দিয়ে তৈরি বিভিন্ন খাবার খাওয়ার অভ্যাস আছে অনেকেরই। আমাদের দেশে বেশিরভাগই আমের সঙ্গে দুধ মিশিয়ে খেতে ভালোবাসেন। ম্যাঙ্গো-মিল্কশেক নামেও পরিচিত এই খাবার। কেউ কেউ আবার ভাতের সঙ্গে আম-দুধ খেতে ভালোবাসেন। আম একটি পুষ্টিকর ফল, এদিকে দুধও ভীষণ উপকারী। এই দুই খাবার একসঙ্গে যোগ হলে তা কি শরীরের জন্য উপকার বয়ে আনে? 
এ বিষয়ে ভারতীয় আয়ুর্বেদ চিকিৎসক ডাঃ দীক্ষ্মা ভাবসা সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। জেনে নিন তার পরামর্শ-



​আম-দুধের উপকারিতা

আম ও দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে অনেকগুলো উপকার মেলে। তার মধ্যে অন্যতম হলো এটি খুব দ্রুত শরীরে শক্তি সরবরাহ করে। 
২২৬ গ্রাম আম-দুধ খেলে আমাদের প্রতিদিনের চাহিদার প্রায় ২০% ভিটামিন এ এবং প্রায় ৩৩% ভিটামিন সি পাওয়া যায়। এটি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কাজেও মূখ্য ভূমিকা রাখে। আম ক্ষারীয় প্রকৃতির এবং খাদ্য আঁশ সমৃদ্ধ। যে কারণে আম-দুধ খেলে তা শরীরে অম্ল ক্ষারের ভারসাম্য বজায় রাখে। সেইসঙ্গে এটি সাহায্য করে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধেও। যারা অ্যানিমিয়ার সমস্যায় ভুগছেন তারা আম-দুধ একসঙ্গে খেতে পারেন। কারণ এটি লোহিত রক্ত কণিকার উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফল ও দুধ একসঙ্গে খেতে নিষেধ করা হয়। তবে আমের ক্ষেত্রে ভিন্ন কেন? এটি কিছু ক্ষেত্রে আলাদা। খাঁটি মিষ্টি এবং পাকা ফল যেমন আম, অ্যাভোকাডো, খেজুর ইত্যাদির সঙ্গে দুধ মিশিয়ে খেলেও ক্ষতি নেই। দুধের সঙ্গে পাকা আম মিশিয়ে খেলে তা পিত্তকে শান্ত করে। এটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। নিয়মিত আম-দুধ খেলে তা ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। এটি মিষ্টি এবং শীতল প্রকৃতির। তাই নিশ্চিন্তে খেতে পারেন আম-দুধের মিষ্টি পানীয়। তবে দুধের সঙ্গে আলাদা করে চিনি মেশাবেন না

অন্যান্য খাবারের সঙ্গে আম

খাবারের সঙ্গে বিভিন্ন ফল খেতে নিষেধ করা হয়। তবে আমের ক্ষেত্রে বিষয়টি ভিন্ন। আপনি আমের রস অন্যান্য খাবারের সঙ্গে মিশিয়েও খেতে পারেন। এক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। যেমন ধরুন যাদের শরীরে প্রদাহজনিত সমস্যা, অটো ইমিউন ডিসঅর্ডার বা ত্বকের সমস্যা রয়েছে বা যারা দুর্বল বিপাকজনিত সমস্যায় ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে আম-দুধ একসঙ্গে না খাওয়াই ভালো। চিকিৎসক যদি কোনো কারণে এই দুই খাবার একসঙ্গে খেতে নিষেধ করেন তবে এড়িয়ে যাবেন।

No comments

Theme images by konradlew. Powered by Blogger.