থাইল্যান্ডে বৈধতা পেল গাঁজা
থাইল্যান্ডে বৈধতা পেল গাঁজা
গাঁজা উৎপাদন, বিক্রি, গাঁজা দিয়ে খাদ্য ও পানীয় তৈরি এবং খোলাবাজারে সেসবের কেনাবেচাকে বৈধ ঘোষণা করেছে থাইল্যান্ডের সরকার। বৃহস্পতিবার এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
দেশটির একাধিক উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, করোনা মহামারির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশটির কৃষি ও পর্যটন খাতকে আরও উৎপাদনশীল ও লাভজনক করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সরকারি আদেশে অবশ্য গাঁজা উৎপাদন, বিক্রি, গাঁজা থেকে তৈরি খাদ্যপণ্য প্রস্তুত ও সেসবের কেনাবেচাকে বৈধ ঘোষণা করলেও প্রকাশ্যে গঞ্জিকা সেবনকে অবৈধ বলে উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
এদিকে, সরকারের এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে থাইল্যান্ডের সাধারণ জনগণ। বৃহস্পতিবার দেশটির বিভিন্ন শহরের গাঁজা ও গাঁজা থেকে প্রস্তুক করা খাদ্যপণ্য বিক্রির দোকানগুলোতে রীতিমতো ভিড় শুরু হয়েছে।
২৪ বছর বয়সী রিত্তিপং দাচকুল রয়টার্সকে জানান, সরকার যে গাঁজার উৎপাদন ও বিপণনের পক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিতে যাচ্ছে, তা জনগণের একাংশ আগেই ধারণা করেছিল।
রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘আমি খুবই খুশি। আগে গাঁজা কেনার সময় অনর্থক নানা হয়রানির মধ্যে পড়তে হতো। এখন থেকে আর সেসব হবে না।’
‘অবশ্য সরকারের এ পদক্ষেপ প্রত্যাশিত ছিল। আমি এবং আমার মতো অনেকেই ধারণা করছিলাম, শিগগিরই গাঁজাকে বৈধতা দিতে যাচ্ছে যাচ্ছে সরকার।’
‘আমি ব্যাংককের বাইরে থাকি; কেবল গাঁজা কিনতে গতকাল অফিসের কাজ শেষ করে বেরিয়ে প্রথম যে বাস পেয়েছি, সেটি ধরেই চলে এসেছিল এখানে।’
ব্যাথা ও ক্লান্তি দূর করতে ঐতিহাসিকভাবেই গাঁজা ব্যাবহারের চল রয়েছে থাইল্যান্ডে। এর আগে, ২০১৮ সালে চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে গাঁজা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছিল দেশটির সরকার।
এই প্রথম এশিয়ার কোনো দেশে বাণিজ্যিকভাবে গাঁজা উৎপাদন ও অভ্যন্তরীণ বাজারে তা কেনাবেচার অনুমোদিত হলো। সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গ্রাহকদের সুবিধার জন্য ইতোমধ্যে ‘প্লুকগাঞ্জা’ নামের একটি অ্যাপও অ্যাপও খোলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই অ্যাপ খোলার পর কিছুক্ষণের মধ্যে প্রায় ১ লাখ মানুষ গ্রাহক হিসেবে নিজেদের নাম নিবন্ধন করেছেন।
ব্যাংককের বাসিন্দা চোকাওয়ান কিট্টি চোপাকার একটি দোকান রয়েছে রাজধানীতে, যেখানে গাঁজা থেকে তৈরি খাদ্যপণ্য বিক্রি করা হয়। সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘করোনা মহামরি আমাদের অর্থনীতি প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছে। এ কারণে এ মুহূর্তে এটি খুব দরকার ছিল।’
No comments