জুরাইন ট্রাফিক পুলিশ বক্সে হামলা ; মামলাও রিমান্ড
জুরাইন ট্রাফিক পুলিশ বক্সে হামলা ; মামলাও রিমান্ড
জুরাইন ট্রাফিক পুলিশ বক্সে এবং পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ৩ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক এবং ৩৫০-৪০০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে শ্যামপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন ট্রাফিক সার্জেন্ট মোঃ আলী হোসেন। আসামিরা হলেন, সোহাকুল ইসলাম রনি; ইয়াসিন জাহান নিশান ভূইয়া ; ইয়াসিন আরাফাত ভূইয়া। ঘটনার বিবরণ ও উপস্থিত লোকসকলের কাছ থেকে জানা যায়, ঢাকা-মাওয়া ইনকামিং রোড জুরাইন রেল গেট সংলগ্ন জুরাইন নতুন রাস্তার মুখে দায়িত্ব পালন করছিলেন ট্রাফিক সার্জেন্ট মোঃ আলী হোসেন।
সকালে অফিস টাইম হওয়ায় পোস্তোগোলার দিক থেকে জুরাইন মোড়ের দিকে গাড়ির চাপ ছিল। এ সময় আইনজীবী সোহাকুল ইসলাম রনি মোটরসাইকেল চালিয়ে যাত্রাবাড়ীর দিক হতে জুরাইন মোড়ের দিকে উল্টো পথে আসে। উল্টোপথে আসায় তাদের বাইকটি থামিয়ে ট্রাফিক সার্জেন্ট উল্টো পথে আসার কারন জিজ্ঞেস করেন এবং পেছনের যাত্রীর হেলমেট নাই কেন তার কারনও জানতে চান আর তার সাথে বাইকের কাগজপত্রও দেখতে চান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সার্জেন্টকে সে অকথ্য ভাষায় গালি দেন এবং বলেন আমরা আইনজীবী।
আমার কাগজপত্র আছে; তোমার কাগজ কোথায়? এই তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে হালকা হাতাহাতি হয়। পিছনে বসে থাকা মহিলা যাত্রী (ইয়াসিন জাহান নিশান) এর চিৎকারে মূহুর্তের মধ্যেই শত শত লোক জড়ো হয়ে গেলে ট্রাফিক সার্জেন্ট বলে ট্রাফিক পুলিশ বক্সে টিআই স্যার আছে ঐখানে চলুন। তাকে ফ্লাইওভারের নিচে ট্রাফিক পুলিশ বক্সের দোতলায় নিয়ে দরজা আটকে দেয় সার্জেন্ট।
আর বাইকের পিছনের যাত্রী (রনির স্ত্রী নিশান) গলা ফাটিয়ে চিৎকার করতে থাকে আমার স্বামীকে মেরে ফেলতেছে, মেরে ফেলতেছে আপনারা বাঁচান, বাঁচান। আর মোবাইল ফোনে ফোন করে তা ভাই ইয়াসিন আরাফাতকে (মামলার ৩ নং আসামি) আসতে বলেন।
নিশান ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন কে চরম উত্তেজিত করিয়া তোলে এবং পথচারী জনগণ নিশানের সাহায্যে রনিকে উদ্ধারের জন্য ইট পাটকেল দিয়ে ঢিল মেড়ে ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আক্রমণ চালায়। বক্সের চারদিকের কাঁচের গ্লাসগুলো ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়।
এ সময় শ্যামপুর থানার সাব-ইন্সপেক্টর উৎপল দত্ত অপু সার্জেনদের সহায়তায় এগিয়ে আসলে জনতার আঘাতে সে গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে এবং ৩৫০-৪০০ জনকে অজ্ঞাত রেখে শ্যামপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
পুলিশ আসামিদেরকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত জাহান নিশান ভূঁইয়া অন্তঃসত্ত্বা থাকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন এবং বাকিদের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
No comments