Header Ads

Study abroad in Spain

হয় পার্টিতে যোগ দিন, নয় চুপচাপ থাকুন পণ্ডিতরা পণ্ডিতের জায়গায় থাকুন

 হয় পার্টিতে যোগ দিন, নয় চুপচাপ থাকুন পণ্ডিতরা পণ্ডিতের জায়গায় থাকুন


দেশবিরোধী সমালোচকদের উদ্দেশে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, হয় পার্টিতে যোগ দিন, নয় চুপচাপ থাকুন। পণ্ডিতরা পণ্ডিতের জায়গায় থাকুন। আমরা সাধারণ মানুষ, নতুন যে উদ্যম, আমরা সেই উদ্যমের সঙ্গে থাকব। সেটা পদ্মা সেতু হোক, টানেল হোক, বিদ্যুতায়ন হোক। এখন সরকার বাংলার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে, এটা মহানায়কের স্বপ্ন ছিল। এই একটি বিষয়ে অন্তত সরকারকে যদি আমরা ধন্যবাদ না দেই, তবে ছোট মনের পরিচয় দেব।

শনিবার (১১ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বরিশাল ডিভিশনাল জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত পদ্মাসেতু : দক্ষিণাঞ্চলের স্বপ্ন বুনন শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করীম বলেন, পদ্মা সেতুর মধ্য দিয়ে অর্থনীতি ও সুখের নতুন দ্বার উন্মোচিত হলো। পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হওয়ার পরে ড. মোহাম্মদ ইউনুসসহ দেশের অনেক তথাকথিত সুশীল এটা নিয়ে নোংরা খেলায় মেতে ওঠেন। তারা বলেছিলেন, এখানে দুর্নীতি হচ্ছে, টাকা দিয়েন না। বেগম খালেদা জিয়া ওয়াশিংটন টাইমসে আর্টিকেল লিখে বললেন, এটা না করাই উত্তম। 


তিনি বলেন, পরে প্রকল্প বাতিল হয়ে গেল। দুর্নীতি দমন কমিশনে মামলা হলো, হয়রানির শিকার হতে হলো। এসব কারণে এত বড় প্রকল্প বাতিল হয়ে গেল। তখন সিদ্ধান্ত হলো নিজের টাকায় হবে পদ্মা সেতু। মন্ত্রী পরিষদের অনেক সদস্য, আওয়ামী লীগের অনেক নেতা, দেশের জ্ঞানী-গুণী অর্থনীতিবিদরা এমনকি তৎকালীন অর্থমন্ত্রীও বলেছিলেন নিজের টাকায় এটা হবে না।

সমালোচনা করতে হলেও কনস্ট্রাকটিভ সমালোচনা করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা সমালোচনা করবে তারা কচুরিপানা নিয়েও করবে। যদি পিলারে কচুরিপানা আটকে যায় তাহলে তারা বলবে এমন পিলার বানিয়েছে যে কচুরিপানা যায় না। 

তিনি বলেন, দেশের সার্বিক জিডিপির পাশাপাশি পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পটি কাজ সমাপ্ত হলে তা অতিরিক্ত ১.২৩ শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জিডিপি বাড়বে ২ দশমিক ৩ শতাংশ। সেতুটি যোগাযোগের জন্য উন্মুক্ত হলেই দেশের সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হবে। পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৯টি জেলা সরাসরি সারা দেশের সঙ্গে যুক্ত হবে। ঢাকা থেকে খুলনা, মোংলা, বরিশাল, কুয়াকাটা অর্থনৈতিক করিডোর খুলে যাবে। এ সেতু ঘিরে বিশদ অঞ্চলজুড়ে গড়ে উঠবে নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্ক। ফলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট হবে এবং দেশের শিল্পায়নের গতি ত্বরান্বিত হবে। সেতু ঘিরে পদ্মার দুই পাড়ে পর্যটন শিল্পের ব্যাপক প্রসার এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র। এছাড়াও ভারত, ভুটান ও নেপালের সঙ্গে সরাসরি সড়কপথে যোগাযোগ আরও উন্নত হবে।

আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমাল, বরিশাল ডিভিশনাল জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তারিকুল ইসলাম মাসুম, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব সৈকত প্রমুখ।

No comments

Theme images by konradlew. Powered by Blogger.