রাজধানীর মাতুয়াইল মেডিকেল রোডে হিজরাদের ধাওয়া খেয়ে পালানোর সময় বাসের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু
রাজধানীর মাতুয়াইল মেডিকেল রোডে হিজরাদের ধাওয়া খেয়ে পালানোর সময় বাসের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু
মোঃ বাদল :
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় প্রতিদিন সন্ধ্যা হতে মধ্যরাত পর্যন্ত হিজড়া যৌনকর্মীদের দেখা যায় যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা, জুরাইন,সাদ্দাম মার্কেটসহ মাতুয়াইল মেডিকেল রোড সেন্টু পেট্রোল পাম্প থেকে হাসেম রোড পর্যন্ত বিশেষ করে ময়লার ভাগাড় এর পাশে ৭/৮ জন হিজরা দাঁড়িয়ে থাকে।
উদ্দেশ্য পথচারীদের সাথে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হওয়া। কিন্তু যৌনসঙ্গমের পাশাপাশি তারা অহরহ ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত হয়ে পড়ছে। এরকমই এক ঘটনায় গত ২৮/০৫/২০২২ ইং তারিখে হিজরাদের হাত থেকে বাঁচার জন্য দৌড়াতে গিয়ে মাতুয়াইল মেডিকেল রোডে এক যুবক গাড়ির সাথে ধাক্কা খেয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন।
পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের নেওয়ার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তথ্য অনূসন্ধানে জানা যায় ওই রাস্তায় প্রতিদিন যে কয় জন হিজরা দারায় তাদের দলনেতা হলো সুস্মিতা,এনি, মৌসুমী তার প্রধান সহযোগী।
এছারাও মনিকা, ময়না,রাশি,প্রিয়া এই হিজড়া টিমের সক্রিয় সদস্য। দলের সব সদস্যকে নিয়ে সুস্মিতা প্রতিদিন রাতে এলাকার মেইন হাইওয়ের পাশে দারিয়ে পথচারিদের পথ রোধ করে বিরক্ত করে।তাদের কথায় রাজি না হলে হিজরা বাহিনী পথচারির কাছ থেকে টাকা পয়সা এবং মূল্যবান জিনিষ পত্র ছিনিয়ে নেয় এমন অভিযোগ রয়েছে, আর ঠিক এ রকম ঘটনার শিকার হয়ে গত ২৮ মে রাতে জান বাচাতে দৌড় দিতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হোন যুবক।
সম্প্রতি এই ঘটনা হওয়ার পর কিছু দিন পর্যন্ত এই সন্ধ্যার পর থেকে রাতে যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করার যে অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে দাঁড়ানোর কাজ তারা কিছুদিন বন্ধ রেখেছিলো।
হিজড়াদের গুরু মা রিনার সাথে কথা হয়েছিল আমাদের তিনি জানিয়েছেন অসহায় নির্যাতিত হিজড়ারা রাস্তার পাশে রাতে দাঁড়ায় এ বিষয়টা তিনি জানেন কিন্তু তাদেরকে নির্দেশনা দেয়া আছে জোরপূর্বক অর্থ ছিনিয়ে নেওয়া এবং মারামারির ঘটনা কে এড়িয়ে তাদেরকে চলার কথা, যাত্রাবাড়ী হিজড়া গুরুমা রিনা নেত্রী তাদেরকে এই ধরনের নির্দেশনা ইতিপূর্বে থেকেই দিয়ে আসছেন।
কিন্তু বহিরাগত কিছু হিজড়াদের অপকর্মের কারণে এর দায় স্বীকার করছেন মাতুয়াইল মেডিকেল এলাকায় সন্ধ্যার পরে দাঁড়ানো হিজড়াদের মধ্যে কয়েকজন সদস্য। একজন কাভার ভ্যান ড্রাইভার মানিক তিনি জানান রাতে এখানে গাড়ি রাখলে প্রায় সময় এ ধরনের দুর্ঘটনার ঘটনার খবর তারা পান। কারো মোবাইল নিয়ে গেছে অথবা কারো টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।যাত্রাবাড়ী ও কদমতলীর এলাকার বাসিন্দাদের দাবী পুলিশ সদস্যরা যদি চোখ কান সজাগ রাখেন তাহলেই এই ধরনের ছিনতাই রাহাজানি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
No comments