Header Ads

Study abroad in Spain

বিদেশ সফরে পুতিনের মলমূত্র সংগ্রহ করেন বিশেষ দেহরক্ষীরা

 বিদেশ সফরে পুতিনের মলমূত্র সংগ্রহ করেন বিশেষ দেহরক্ষীরা



বিদেশে সফরে গেলে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টর ভ্লাদিমির পুতিনের মল ও প্রস্রাব সংগ্রহ করেন তার বিশেষ দেহরক্ষীরা। মূলত মস্কোতে নিষ্পত্তি করার জন্যই রাশিয়ার বাইরে অন্যান্য দেশে অবস্থানের সময় পুতিনের মল-মূত্র সংগ্রহ করেন তারা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজের একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, সফরের সময় মল-মূত্র সেখানে ফেলে রেখে আসলে প্রেসিডেন্ট পুতিনের স্বাস্থ্য সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য প্রকাশ হয়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কায় সেগুলো সংগ্রহ করা হয়ে থাকে।

ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বহু দেশ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে একঘরে করার চেষ্টা করে আসছে। তা সত্ত্বেও রুশ প্রেসিডেন্টকে নিয়ে আগ্রহের কোনো শেষ নেই। পুতিনের জীবনযাপন, তার ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে তার রাজনৈতিক উত্থান নিয়ে সকলের আগ্রহ চরমে। আর এমন এক পরিস্থিতিতেই মারাত্মক এই তথ্যটি সামনে এলো।

ফরাসি নিউজ ম্যাগজিন প্যারিস ম্যাচে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিদেশ সফর চলাকালীন রুশ প্রেসিডেন্টের মল সংগ্রহ করেন তার নিরাপত্তারক্ষীরা। দুই তদন্তকারী সাংবাদিক রুশ প্রেসিডেন্টের বিষয়ে এই তথ্য সংগ্রহ করেছে। দু’টি বইয়ের লেখক রেজিস জেন্টে এবং ১৩ বছর রাশিয়াতে কর্মরত সাংবাদিক মিখাইল রুবিন এই দাবি করেছেন।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুতিনের মল সংগ্রহের দায়িত্বে থাকে ফেডারেল প্রোটেকশন সার্ভিস। রাশিয়ার ভিভিআইপিদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে এই ফেডারেল প্রোটেকশন সার্ভিস। রুবিন ও জেন্টে জানিয়েছেন, বিদেশ সফর চলাকালীন পুতিন মল-মূত্র ত্যাগ করতে গেলে সেই সময় একজন এফএসও এজেন্ট সেসব মলমূত্র সংগ্রহ করেন এবং একটি প্যাকেটে সংরক্ষণ করেন। পরে স্যুটকেসে করে সেগুলো রাশিয়ায় ফেরত নিয়ে যাওয়া হয়।

রিপোর্টে লেখা হয়েছে, ২০১৭ সালের ফ্রান্স সফর এবং ২০১৯ সালের সৌদি আরব সফরেও এইভাবেই পুতিনের মল-মূত্র সংগ্রহ করা হয়েছিল। ২০১৯ সালে ফ্রান্স সফরের সময় তোলা একটি ভিডিওতে দেখা যায়- ৬ জন নিরাপত্তারক্ষী পুতিনকে এসকর্ট করে বাথরুমে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তাদের একজনকে একটি স্যুটকেস হাতে বাথরুমের বাইরে বেরিয়ে আসতে দেখা গিয়েছিল।

ধারণা করা হচ্ছে, বিদেশি রাষ্ট্রগুলো মলমূত্রে থাকা ৬৯ বছর বয়সী রুশ প্রেসিডেন্টের ডিএনএ নমুনা যাতে সংরক্ষণ না করতে পারে, সেই কারণেই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে এই কাজ করা হয়েছে। সাংবাদিক ফরিদা রুস্তমোভাও জানিয়েছেন, অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনাতেও তারা একই ধরনের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন।

উল্লেখ্য, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর বেশ কয়েকদিন পর থেকে রুশ প্রেসিডেন্টের স্বাস্থ্য নিয়ে নানাবিধ জল্পনা চলছে। একের পর এক অনুষ্ঠানে পুতিনের অনুপস্থিতি থেকে মনে করা হচ্ছে, তিনি অসুস্থ। অনেক প্রতিবেদনে পুতিনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার খবরও প্রকাশিত হয়েছে।

No comments

Theme images by konradlew. Powered by Blogger.