Header Ads

Study abroad in Spain

অভয়নগরে বে-সরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে গলাকাটা বাণিজ্য, মানা হচ্ছেনা সরকারি নির্দেশনা

 অভয়নগরে বে-সরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে গলাকাটা বাণিজ্য, মানা হচ্ছেনা সরকারি নির্দেশনা


যশোরের অভয়নগরে স্বাস্থ্য বিভাগ ঘোষণা ৭২ ঘন্টার সময় বেধে দেয়ার পরেও উপজেলায় অবৈধ অননুমোদিত ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠা ( প্রাঃ) হাসপাতাল ক্লিনিক গুলো কেন যে বন্ধ হলোনা তা অভয়নগর বাসির মনে প্রশ্ন জেগেছে ৷

নওয়াপাড়ায় প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসার নামে চলছে রমরমা গলাকাটা বানিজ্য ৷ গ্রাম্য-হাতুড়ে ডাক্তার নামধারীরা এইসব হাসপাতালের মালিক সেজে বসে থাকে ৷

জানাগেছে , চিকিৎসা সেবার নামে গড়ে উঠা প্রাইভেট হাসপাতালের নিয়োজিত কিছু দালাল চক্র দুর-দুরান্ত থেকে আসা সহজ-সরল নিরীহ রোগীদের কাছ থেকে হাজার হাজার অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে ৷

হাসপাতাল গুলো চলছে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের মোটা অংকের মাসোহারা দিয়ে ৷ ফলে সাধারণ মানুষ অর্থ খরচ করেও উপযুক্ত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ৷

এসব হাসপাতালের মালিকরা বছরে লক্ষ লক্ষ অর্থ বানিজ্য করে আসছে ৷ সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে , হাসপাতাল গুলোয় ১০ শয্যার অনুমতি থাকলে ও পাওয়া গেছে প্রায় ৩০ থেকে ৪০শয্যা বিশিষ্ট ৷ যা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ ৷

এসব(প্রাঃ)হাসপাতালে বিভিন্ন অনিয়ম,অব্যবস্থাপনা,অস্বাস্থ্যকর পরিবে-শের করুণ চিত্র ফুটে উঠেছে ৷ সপ্তাহে একদিন ডাক্তার সিরিয়াল দিয়ে একের পর এক কসাইয়ের মত রোগি অপারেশন করে চলে যায়৷

রোগিদের দেখাশোনা করে তথাকথিত সেবিকারা ৷ রোগির অবস্থা যখন মারাত্মক মৃৃৃৃত্যুর ঝুঁকিতে পড়ে তখন হাসপাতালের মালিকেরা রোগিকে যশোর,খুলনা অথবা রাজধানীতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন ৷

ফলে রোগি হাসপাতাল ত্যাগ করলে পরবর্তীতে নানান জটিলতায় ভূগে মৃৃৃত্যুর মুখে পতিত হয় ৷ আরো অভিযোগ উঠেছে যে, অভয়নগরে শিশু বিশেষজ্ঞ কোন ডাক্তার নেই , অথচ নবজাতক শিশুর চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয় অনবিজ্ঞ ওয়ার্ড বয় ও সেবিকাদ্বারা ৷

অক্সিজেন লাগিয়ে তিন চারদিন পার করতে পারলেই তাদের বাণিজ্য ৷ পরবর্তীতে অক্সিজেন ও বেড ভাড়াবাবদ মোটা অংকের ভাউচার ধরিয়ে দেয় রোগির অভিভাবকের কাছে ৷

সেবা নিতে এসে প্রতারিত হচ্ছে অসহায় হত দরিদ্রসহ বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ ৷ এভাবে যাতে সাধারণ মানুষ সেবা নিতে এসে প্রতারিত না হয় তাই এ ব্যাপারে তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের জেলা সিভিল সার্জনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন ভূক্তভোগী সাধারণ রোগিরা ৷

এদিকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের সব অবৈধ এবং অনিবন্ধিত হাসপাতাল-ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা উপেক্ষিত হয়েছে। অভয়নগরে তেমন কোন পদক্ষেপ দেখা মেলেনি এখনও কোনো নিয়মনীতি ছাড়াই হাসপাতাল-ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার চলছে।

উপজেলায় অবৈধ হাসপাতাল-ক্লিনিক। যেগুলোতে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের ন্যূনতম সুবিধা নেই। অবৈধ এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রতিনিয়ত রোগী প্রতারণার ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনার পরও এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে গড়িমসি করছে সিভিল সার্জন অফিস। সিভিল সার্জন অফিসকে ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন ধরে এসব অবৈধ ক্লিনিক-হাসপাতাল চলছে।

No comments

Theme images by konradlew. Powered by Blogger.