পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান জনসমুদ্রে পরিণত হবে : নানক

 পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান জনসমুদ্রে পরিণত হবে : নানক

বহুল আকাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। 

শুক্রবার (১০ জুন) আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে জনসভা সফল করার লক্ষ্যে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।

নানক বলেন, আমাদের ধারণা ১০ লক্ষাধিক লোক জনসভায় উপস্থিত হবেন। কিন্তু এখনো বলতে পারছি না কি পরিমাণ মানুষ আসতে পারেন? আশা করছি, বঙ্গবন্ধুকন্যা সফল রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতু সকল দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত-ষড়যন্ত্রকে পরাজিত করে শেখ হাসিনার রাষ্ট্রনায়োকোচিত কারণে, তার দৃঢ়তার কারণে, তার সততার কারণে একাত্তরের পর আরেকটি বিজয় অর্জন করছে বলে দেশের প্রায় ১৮ কোটি মানুষ বিশ্বাস করে। আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে তাদের ভেতরে সেই আমেজ কাজ করছে।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষসহ সারা দেশের মানুষের জনসমাগম ঘটবে। এমনকি বাঙালি যারা বিদেশে বসবাস করেন, তারাও উদ্বোধনের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে বিদেশ থেকেও চলে আসছেন।

তিনি বলেন, মাননীয় নেত্রী শেখ হাসিনা দুই বছর করোনা মহামারি মোকাবিলা করেছেন। করোনার সময়ে তিনি স্বাস্থ্যবিধির কারণে জনসম্মুখে আসতে পারেননি তেমন। দীর্ঘ দুই বছর পরে বঙ্গবন্ধুকন্যা জাতির উদ্দেশ্যে জনসম্মুখে ভাষণ দেবেন। 

নানক বলেন, এখানে কত লাখ লোক হবে, আমরা কিন্তু বুঝতে পারছি না। সে কারণে সংগঠনগুলোকে নিয়ে সার্বিক শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য আলোচনা করতে হয়েছে। কেউ লঞ্চে, কেউ বাসে, কেউ বিভিন্ন যানবাহনে আসবে, সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আমরা ধারণা করেছি কমপক্ষে ১০ লাখ লোকের সমাগম হবে। এটা হয়তো আরও বেশি হতে পারে, এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। এই বিশাল জনসভাকে সফল করাই আমাদের লক্ষ্য।

জাহাঙ্গীর কবির নানকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভা পরিচালনা করেন দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, আনোয়ার হোসেন, শাহাবুদ্দিন ফরাজী, সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীমসহ যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা।