আপনারা আপনাদের নীতিতে ফিরে আসুন যার যার ভোট তার খুশিমতো দিতে দিন।
আপনারা আপনাদের নীতিতে ফিরে আসুন যার যার ভোট তার খুশিমতো দিতে দিন।
সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেছেন, আপনারা আপনাদের নীতিতে ফিরে আসুন। যার যার ভোট তার খুশিমতো দিতে দিন। দিনের ভোট যেন রাতে না হয় সেটা নিশ্চিত করুন।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) খুলনায় বিএনপির গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা বাস্তবায়ন এবং বেগম খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাসসহ গ্রেপ্তার হওয়া নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপি যৌথভাবে কেন্দ্রঘোষিত এই গণমিছিল কর্মসূচির আয়োজন করে।
ড. মঈন খান বলেন, দেশে উন্নয়নের জোয়ার বইছে, আওয়ামী লীগের এই দাবি সত্য হলে সুষ্ঠু ভোট করতে সমস্যা কোথায়? আপনারা জনগণের কাতারে দাঁড়ান, দেশের মানুষকে কথা বলার স্বাধীনতা দিন।
নতুন প্রজন্মকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনাদেরকে ইতিহাসের কিছু সত্য জানাতে এখানে এসেছি। ১৯৯৬ সালে আমরা ক্ষমতায় থাকতে একটি নির্বাচন দিই। এরপর আরেকটি নির্বাচন হয়, যার আগে পল্টনে এমন একটি সমাবেশ থেকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছিলেন। বিএনপি ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে না, জনগণের জন্য রাজনীতি করে। ক্ষমতাকে তুচ্ছ করে দেশনেত্রী প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়েছিলেন। এমন আর একটি নজির স্থাপনের জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এসময় তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া রাজনৈতিক মামলাসমূহ প্রত্যাহার এবং আটককৃতদের মুক্তির জোর দাবি জানান।
খুলনা মহাগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু ও কেন্দ্রীয় নেতা খান রবিউল ইসলাম রবি। মহানগরের সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন ও জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পীর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, বিএনপি নেতা মো. তারিকুল ইসলাম জহির, আবু হোসেন বাবু, খান জুলফিকার আলী জুলু প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে একটি বিশাল মিছিল থানার মোড় থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণের পর কেসিসি মার্কেট চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
No comments