রুহুল কবির রিজভী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রুহুল কবির রিজভী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় কারাগারে থাকা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীকে আদালতে দায়ের করা (সিআর) মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এছাড়া পৃথক তিন থানার মামলায় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (১৮ ডিসেম্বর) কারাগার থেকে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এদিন পুলিশ পৃথক মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদেরকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেন টুকুর পক্ষের আইনজীবী নিহার হোসেন ফারুক। তিনি বলেন, রাজধানীর শাহবাগ, রমনা ও পল্টন থানার নাশকতায় অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর ও তোফাজ্জল হোসেনের আদালত গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন। আগামীকাল আমরা এ তিন মামলায় জামিনের আবেদন করবো।
আরেক মামলায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিব বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
গত বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান এবং অনেকেই আহত হন। পরে বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালানো হলে সেখানে অনেকগুলো ককটেল পাওয়ার কথা জানায় পুলিশ।
অভিযান চলাকালে নয়াপল্টন থেকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ অনেক নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত দেড় থেকে দুই হাজার বিএনপির নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।
No comments