খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডর পতিত জমিতে ফসলের ঝিলিক
খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডর পতিত জমিতে ফসলের ঝিলিক
মরিচ, পেঁয়াজ, রসুন, টমেটো, কুমড়া, সাদা জাতের বেগুন, মিষ্টি আলু, লাল শাক, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, পেঁপে সহ নানা জাতের শাকসবজি এখন উৎপাদন হচ্ছে খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডে। সাধারণত সরকারি অফিস গুলোর বাহিরের অংশে বিভিন্ন ফুলের গাছ দেখা যায়, এই দিকদিয়ে অনেকটাই ব্যতিক্রমী খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ড। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন আবাদযোগ্য সব জমিতেই চাষ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর এই কথার সূত্র ধরেই খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলামের উদ্যোগে এবং অফিস সহকারী ধীরাজ চন্দ্র সরকার ও অন্যানদের প্রচেষ্টায় সবজি রোপন শুরু করা হয়। প্রথমে ২ শতক জমিতে শুরু করলেও এখন তা দাঁড়িয়েছে ১ বিঘারও অধিক জমিতে। এতে উৎপাদিত ফসল প্রতিদিনের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি জলবায়ুর বিরূপ প্রতিক্রিয়া থেকে একটু হলেও রক্ষা করছে।
এই বিষয়ে শাখা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, ছোট বেলা থেকেই শাকসবজি সহ বিভিন্ন গাছ রোপন করার অভ্যাস রয়েছে, অফিসের আসে পশে বিভিন্ন জায়গা দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত পড়ে থাকতে দেখে একদিন নিজ উদ্যোগে অফিস সহকারী ধীরাজ চন্দ্র ও আরো কয়েক জনকে সাথে নিয়ে অফিসের সামনের দিকে খালি জায়গায় প্রথমে বেগুন, লালশাক সহ কয়েক প্রকার সবজি রোপন করি এবং সফলও হই। এর পর অফিস সহকারীরা অফিসের আসেপাশে সকল খালি জায়গা চাষাবাদের উপযোগী করে বিভিন্ন ধরণের শাকসবজি চাষ করে আসছে।
তবে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের সরকারি সহযোগিতা ছাড়াই এই চাষাবাদ চলছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডে সেবা নিতে আসা গ্রাহকরা এই সবজি বাগান দেখে উৎসাহিত হয়ে কেউ কেউ আবার বাড়ির আঙিনা ও বাড়ির ছাদেও বিভিন্ন ধরণের শাকসবজি রোপন করছেন।
অফিস সহকারী ধীরাজ চন্দ্র সরকার বলেন তরিকুল স্যারের সহযোগিতায় আমরা প্রথমে এই সবজি বাগানে সবজি রোপনের কাজ শুরু করি, শুরুতে নানা ধরণের বাঁধা বিপত্তি আসলেও এক পর্যায় সবজি আবাদ হওয়ার পরে সবাই মুগ্ধ হয়েছেন।
আর এই সবজি বাগান থেকে উৎপাদিত ফসল আমার বাসার চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি, সকল কর্মকর্তারাও এখান থেকে প্রাই শাকসবজি নিয়ে যায়। অফিস সকাল ৯ টায় হলেও প্রতিদিন সকাল ৬ টায় অফিসে এসে সবজি বাগানে পানি দেওয়া ও পরিচর্যার কাজ করে থাকি।
No comments