রাজধানী শ্যামপুর বড়ইতলায় সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার গোটা পরিবার ! দ্রুত গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন।
রাজধানী শ্যামপুর বড়ইতলায় সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার গোটা পরিবার ! দ্রুত গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন।
স্টাফ রিপোর্টারঃ
মোঃ মনির হোসেন
রাজধানীর শ্যামপুরে বড়ইতলা হিজরা পট্টি এলাকায় ইপটিজিং এর প্রতিবাদ করাকে কেন্দ্র করে একাধিক বার সন্ত্রাসী হামলার শিকার ভুক্তভোগী অজিফা বেগমের পরিবার।
সোমবার ৭ আগষ্ট দুপুর ১টার সময় ভুক্তভোগীর পরিবার ও এলাকাবাসি হামলাকারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেন।
উক্ত মানববন্ধনে বাদী আজিফা বেগম বলেন,
ঘটনার দিন আমি মামলা করতে গেলে থানা থেকে আমাকে বারবার ফিরিয়ে দিয়ে বলে ১ নং ও ২নং আসামী বাদ দিলে আমার মামলা নিবে, তারপর আমি ডিসি মহাদ্বয়ের নিকট ঘটনাটি জানালে, থানা আমার মামলা নিতে রাজি হন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১'লা আগষ্ট মোঙ্গলবার আনুমানিক রাত সারে নয় টার সময় ভাতিজি নাছিমা (৩০) কে নিয়ে শ্যামপুর হতে কেরানীগঞ্জ যাওয়ার পথে স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের খপ্পরে পরেন চাচি আফিজা বেগম। সন্ত্রাসীদের হাতা-হাতি আর ধস্তাধস্তিতে একপর্যায়ে স্থানীয় ও দূঃসম্পর্কের ভাগিনা উজ্জল এগিয়ে আসলে বিষয়টি কোন দিকে না গড়ালেও, সন্ত্রাসীরা উৎ পেতে থাকে।
এক পর্যায়ে ভাগিনা উজ্জল ৩ আগষ্ট বৃহস্পতিবার তার কর্মক্ষেত্র থেকে বাসায় ফেরার পথে নামা শ্যামপুর বড়ইতলা এলাকায় পৌছাঁনো মাত্র এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে করে জখম করেন। আসামীরা হলেন, (১) আফছর উদ্দিন এর ছেলে - বাদশা(২২), (২) আনোয়ার এর ছেলে, সোলেমান (২০), (৩) পিতা - অজ্ঞাত, তামিম (২০), (৪) মৃত আঃ ছালাম এর ছেলে, শামীম (২২), (৫) পিতা অজ্ঞাত, চায়না শামীম(২০), (৬), ফুল মিয়ার ছেলে, মাহাবুব (২৩), (৭) হেলাল মিয়ার ছেলে, সোহান (২০)।
এসময়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় মাথায় এলোপাথাড়ি রামদায়ের কোপে মারাত্মকভাবে জখম হয় উজ্জল।আহত হয়ে জীবন বাঁচাতে দৌড়ে আসে বাদী আফিজা বেগমের মেয়ে রুনার (৪০) গ্যারেজে। আশ্রয় নিলেও সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি গ্যারেজে থাকা আয়ের দের লাখ টাকা রুনার।
সন্ত্রাসীদের তাণ্ডবলীলার খবর পেয়ে আফিজার বড় ছেলে বেল্লাল শেখ, তার বোন উজ্জলকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তার উপরেও বিভিন্ন দেশীয় ধারালো অস্র দিয়ে হামলা চালালে, বেল্লাল শেখ এর চারটি দাতঁ পরে যায়। খবর শুনে এসময়ে চাচি আফিজা বেগম ঐ স্থানে ছুটে গেলেও চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা আরো বেপারোয়া হয়ে তাণ্ডব চালায়। পরে স্থানীয় জনসাধারণের সহযোগীতায় আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এবিষয়ে আফিজা বেগম (৫৫) ন্যায় বিচারের দাবীতে উল্লেখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় কদমতলী থানায় ৫ আগষ্ট শনিবার একটি মামলা করলেও, এখনো পর্যন্ত কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি কদমতলী থানা পুলিশ।
স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের হামলা আর আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবীতে স্থানীয় জনসাধারণ ৭'ই আগষ্ট সোমবার দুপুর ১.০০টার দিকে মানববন্ধনের আয়োজন করে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবী জানান ভুক্তভোগীর পরিবার ও এলাকাবাসী।
এবিষয়ে কদমতলী থানার এস আই মোঃ শামসুল আলম বলেন, মামলার তদন্ত সাপেক্ষে আসামিদের গ্রেফতার করার অভিজান অব্যাহত রয়েছে।
No comments