Header Ads

Study abroad in Spain

জনশুমারির প্রকিউরমেন্টে হোঁচট খেয়েছি : পরিকল্পনামন্ত্রী

 জনশুমারির প্রকিউরমেন্টে হোঁচট খেয়েছি : পরিকল্পনামন্ত্রী


পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, জনশুমারি করতে গিয়ে প্রকিউরমেন্টে আমরা বেশ কয়েকবার হোঁচট খেয়েছি। ট্যাব ক্রয় বিরাট একটা ক্রয়াদেশ ছিল। এটা তিনবার ক্রয় কমিটি থেকে ফিরে এসেছে। আমরা সর্বোচ্চ পরিমাণে স্বচ্ছতার সঙ্গে ক্রয় কমিটিতে গিয়েছি এবং উনাদের বুঝিয়েছি।

বুধবার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ বিষয়ে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় সাংবাদিকগণের অংশগ্রহণে অবহিতকরণ কর্মশালায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

কয়েক দফা তারিখ পরিবর্তনের পর অবশেষে দেশব্যাপী মাঠ পর্যায়ে একযোগে সাত দিনব্যাপী কাঙ্ক্ষিত জনশুমারির তথ্য সংগ্রহ করা হবে আগামী ১৫ থেকে ২১ জুন। এ লক্ষ্যে ৩ লাখ ৯৫ হাজার ট্যাবলেট কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকার। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের গত বছর শুমারি করার কথা ছিল। কিন্তু আমরা শুমারির কাজ করতে গিয়ে পিছিয়ে গেছি। কয়েকটি কারণে আমরা শুমারির কাজ করতে গিয়ে পিছিয়ে গেছি। কোভিডের কারণে আমরা প্রথম ধাক্কা খেয়েছি। প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম ম্যানুয়ালি শুমারি করব, পরে ডিজিটালি শুমারি করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। যেহেতু বাংলাদেশ ডিজিটালি অনেক এগিয়ে গেছে। সর্বত্র এখন স্মার্টফোন ব্যবহার হচ্ছে, ইন্টারনেট সংযোগও বেড়েছে। ডিজিটালি শুমারি নিখুঁত বেশি হবে, বিশুদ্ধতা বেশি হবে। ডিজিটাল মাধ্যমে শুমারি বেশি নিখুঁত হবে, বেশি বিশুদ্ধ হবে।’

তিনি বলেন, ‘শুমারি করতে গিয়ে প্রকিউরমেন্টে আমরা হোঁচট খেয়েছি। বিরাট একটা ক্রয়াদেশ ছিল ট্যাব কেনার। এটা তিন বার ক্রয় কমিটি থেকে ফিরে এসেছে। সর্বোচ্চ পরিমাণে স্বচ্ছতায় সঙ্গে ক্রয় কমিটিতে বার বার গেছি, উনাদের বুঝিয়েছি। অবশেষে এটা অনুমোদন পাওয়ার পর শুমারির দিনক্ষণ ঠিক করা সম্ভব হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সরকার প্রধানকে সব সময় শুমারির বিষয়ে অবহিত করেছি। ১৫ থেকে ২১ জুন জনশুমারি অনুষ্ঠিত হবে। কাজটা সম্পাদন করতে দেশের সব নাগরিকের সহায়তা চাইব। এ বিষয়ে আমাদের সরকার প্রধান দেশবাসীর কাছে বক্তব্য রাখবেন। পরিসংখ্যান বিভাগকে বারবার বলেছি, অবাধ তথ্য প্রবাহ সৃষ্টি করতে হবে। সাংবাদিকরা যেন সকল তথ্য পেতে পারেন। এমন কোনো ক্লাসিফাইড তথ্য ডিল করছি না যেটা সবার কাছে শেয়ার করা যাবে না। সাংবাদিকেরা সব সময় শুমারি নিয়ে সচেতন থাকবে। অন্যদিকে আমরাও সঠিক উত্তর দিতে প্রস্তুত থাকব।

এম এ মান্নান আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় এভাবে মাথা গণনার আয়োজনের দরকার নেই। স্বল্প সময়ে শুমারির চিন্তা-ভাবনা করছি। দেশ এগিয়ে গেছে, জ্ঞান-বিজ্ঞান আরও প্রসারিত হয়েছে। সংস্কৃতি বাড়ছে, স্মার্টফোনের সংখ্যা প্রায় সর্বত্র। তাহলে কেন ১০ বছরের পরিবর্তে স্বল্প সময়ে শুমারি করতে পারব না। শুমারির অপারেশন রিয়েল টাইমে করব। আমরা আশা করছি পরবর্তীতে গণনা ৫ বছর পরপর করব। এটা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করতে হবে, আমাদের সক্ষমতা যাচাই করতে হবে। দরকার হলে এক্সপার্টদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। কিন্তু আমি চাই, ১০ বছর পরপর মহাযজ্ঞ করে না গিয়ে টাইম টু টাইম জনশুমারি করতে। আজকে কেন সময় মতো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের জনসংখ্যার সঠিক তথ্য পাবেন না। আমাদের হাতের কাছে টেকনোলজি আছে, এটা ব্যবহার করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিটা তথ্য বাংলায় হতে হবে। জনশুমারির জন্য যে ফর্ম হাতে যাবে সেটা বাংলায় হবে। যে তথ্য সংগ্রহ করা হবে সেটাও বাংলায় হবে। এটা নিয়ে যে প্রকাশনা বের হবে সেটাও বাংলায় হতে হবে। কোনো আবেগ নয়, ইংরেজির প্রয়োজন আছে, কারণ আমাদের বিদেশি বন্ধু আছে। তাদের জন্য কিছু প্রকাশনা ইংরেজিতে হবে। তবে মেজর কাজগুলো বাংলায় করা হবে। সবার এক্সেস যেন স্বস্তিদায়ক হয়। ছাপার কাজও আমরা নিজেরাই করব। প্রচারের জন্য সংবাদমাধ্যম পাশে থাকবে। জেলা ও উপজেলা অফিসার আমাদের সহায়তা করবে। উপজেলা পর্যায়ে যেসব ডিজিটাল বোর্ড আছে সেগুলোতে প্রচার করতে হবে।


No comments

Theme images by konradlew. Powered by Blogger.