Header Ads

Study abroad in Spain

চার মেরে মাইলফলক ছুঁতে গিয়েই বিপদ বাড়িয়েছেন তামিম!

 চার মেরে মাইলফলক ছুঁতে গিয়েই বিপদ বাড়িয়েছেন তামিম


প্রায় এক বছর পর টেস্ট ক্রিকেটে ফিরেছেন তামিম ইকবাল। প্রত্যাবর্তন রাঙাতে ব্যাট হাতে দারুণ শুরু করেন বাঁহাতি এই ওপেনার। ইনিংসের শুরু থেকে হাত খুলে খেলেন। ছুঁটছিলেন অর্ধশতকের পথে। কিন্তু ব্যক্তিগত ৪৭ রানের সময় দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার ভিয়ান মুল্ডারকে লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হয়ে গেলেন তামিম। প্রিয় শিষ্যর এমন আউটে মনঃক্ষুণ্ণ বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং পরামর্শক জেমি সিডন্স।

সিডন্সের ধারণা, ব্যাট হাতে শুরু থেকে আগ্রাসী ভূমিকায় রান তোলা তামিম চেয়েছিলেন, চার মেরেই ব্যক্তিগত অর্ধশতকের কোটা পূর্ণ করতে। সেটি করতে গিয়েই তালগোল পাকিয়ে ফেললেন তামিম?

পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে সিডন্স বলেন, ‘আমার মনে হয় তামিম চার দিয়ে অর্ধশতক পূর্ণ করতে চেয়েছিল। পুরো ইনিংসে সে কিভাবে খেলেছে সেটা সে ভুলে গিয়েছিল। সোজা ব্যাটে দারুণ খেলছিল, পা বাঁকা ছিল না। বোলারদের প্রতি তার আগ্রাসী ব্যাটিং দারুণ ছিল। আমাদের ড্রেসিংরুমে স্বস্তি দিয়েছিল। ৪৭ রান করার পেছনে ভালোই খেলেছে। ইনিংসটা আরও বড় হলে ভালো হত।’

সঙ্গে যোগ করেন সিডন্স, ‘তামিমের এমন ব্যাটিং ওর জন্য খুবই স্বাভাবিক। টেস্ট ও ওয়ানডেতে শুরুতে সে এমন আগ্রাসীই থাকে, এরপর ধীরে ধীরে উইকেটে সেট হয়। ফাস্ট বোলারদের বাজে বলগুলোই সে শুধু মারে, আর আজ স্পিনারদের দারুণ খেলছিল। সে ভালোভাবে বল ছেড়েছেও, একইসাথে ডিফেন্ড করেছে। রাউন্ড দ্য উইকেটে বল করা বোলারদের বিপক্ষে ও আর শান্ত দারুণ ছিল। আমি মনে করি না আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের কারণে আউট হয়েছে ও, এটা নিছক মানসিক কারণ।’

প্রোটিয়াদের ৪৫৩ রানে গুটিয়ে দিয়ে নিজেদের প্রথম ইনিংসের প্রথম ওভারেই মাহমুদুল হাসান জয়ের উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ দল এরপর তামিম আর নাজমুল হোসেন শান্তর জুটিটা জমেছিল বেশ। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে দুইজন চাপ তৈরি করেন প্রতিপক্ষ শিবিরে। পর মুল্ডার তামিমকে ফেরাতেই ধ্বস নামে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে। শেষ বিকেলের ব্যাটিং বিপর্যয়ে দ্বিতীয় দিন শেষে ফলোঅনের শঙ্কায় অধিনায়ক মুমিনুল হকের দল।

দ্বিতীয় দিন শেষে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৩৯ রান। প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকদের থেকে এখনো ৩১৪ রানে পিছিয়ে টাইগাররা। ফলোঅন পার করতে হলে অন্তত ২৫৪ রান করতে হবে সফরকারীদের, অর্থাৎ এখনো প্রয়োজন ১১৫ রান।

সিডন্স বলছিলেন, ‘আমরা যেভাবে খেলি সেভাবেই লড়াইয়ের চেষ্টা করেছি। জিততে হলে তো ময়দানে নামতে হবে। খেলোয়াড়রাও তার ব্যাপারে অবগত।  যেভাবে তারা শুরু করেছে তাতে আমরা খুশি। তবে সেই আগ্রাসন অনুসরণ করতে পারেনি।


No comments

Theme images by konradlew. Powered by Blogger.