Header Ads

Study abroad in Spain

নিজেদের দুর্নীতি-ব্যর্থতা আড়ালের জন্য বিএনপি নেতারা দুদকে গিয়েছেন

 নিজেদের দুর্নীতি-ব্যর্থতা আড়ালের জন্য বিএনপি নেতারা দুদকে গিয়েছেন


বিএনপি নেতারা দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) গিয়ে যে মহড়া দিয়েছেন তা নিজেদের দুর্নীতি ও ব্যর্থতা আড়ালের অপচেষ্টা মাত্র বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।  

মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) নিজের সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংয়ের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির কথিত আন্দোলন আর অভ্যুত্থানের রঙিন খোয়াব ভেঙে যাওয়ায় জনগণের নজর তারা এখন ভিন্ন দিকে নিতে চায়। কর্মী-সমর্থকদের রোষানল থেকে বাঁচতেই বিএনপি নেতারা দুর্নীতির তথ্য দেওয়ার নামে নাটকীয়তার আশ্রয় নিচ্ছে। 

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, অনেক তথ্যই সরকারের কাছে আছে, কে কোথায় সভা করছে, কাকে টাকা দিচ্ছে, এমনকি সরকারের বিরোধিতার নামে রাষ্ট্রবিরোধী কাজে উসকানির জন্য দুর্নীতিলব্ধ অর্থ বিনিয়োগ করা হচ্ছে। 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কারা কর ফাঁকি দিয়ে ব্যবসা করে আবার দুর্নীতিবাজ নেতৃত্বের জন্য অবৈধ উপায়ে অর্থ প্রেরণ করছে, সব খবরই সরকারের কাছে আছে। এসব অপরাধীরা কেউই ছাড় পাবে না।

বিএনপি মহাসচিবের কাছে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, নিজ দলের অপরাধী, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আপনাদের অবস্থান কী? সাহস থাকলে তাদের তালিকা দিন। বিদেশে বিলাসী জীবনের রসদ কোথা থেকে আসছে তার হিসাব জমা দিন। সরিষার মধ্যে ভুত রেখে ভুত তাড়ানোর এসব লোক দেখানো অপপ্রয়াস অপরাজনীতিরই ধারাবাহিকতা মাত্র। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত বিএনপি যখন দুর্নীতি নিয়ে কথা বলে তখন মানুষের হাসি পায়। আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ দলের এমন মুখরোচক কথার নৈতিক মানদণ্ড নিয়েও মানুষ পরিহাস করে। অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা শূন্য সহিষ্ণুতা নীতিতে অটল। 

তিনি বলেন, শুদ্ধি অভিযানের মাধ্যমে এর প্রমাণ জনগণ ইতিমধ্যে দেখেছে। যে যত বড় নেতাই হোক, অনিয়মের অভিযোগ পেলে কাউকে ছাড় দেওয়া হয়নি। সরকারি দলের অনেক নেতা, এমপি এমনকি মন্ত্রী পর্যন্ত ছাড় পায়নি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দুদক স্বাধীনভাবে কাজ করছে। সরকারি দলের বিরুদ্ধেও দুদকের কাজ করতে কোনো বাধা ছিল না এবং এখনো নেই। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যানসহ তাদের অনেক নেতার বিরুদ্ধে দুদকে যে তথ্য বা অভিযোগ আছে সে ব্যাপারেও দুদক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে বলে আশা করি। 

বিএনপির চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে অন্য যে অভিযোগ আছে সেগুলোরও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেন তিনি। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার সততার বিষয়টি আজ দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হচ্ছে। আজ যারা বড় বড় কথা বলছেন, লোক দেখানো নাটক করছেন, তাদের শাসনামলে নিজ দলের এমপি, মন্ত্রী কিংবা দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের একটি প্রমাণ তারা দেখাতে পারবেন না।

তিনি বলেন, বিএনপির নীতি ছিল দুর্নীতি, তোষণ আর দলীয়ভাবেই করা দুর্নীতিবাজদের পৃষ্ঠপোষকতা। বিএনপির শাসনামল আর দুর্নীতি সমর্থক হয়ে গিয়েছিল। একদিকে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে, আবার অন্যদিকে কল্পিত অভিযোগ করাকে জনগণ নৈতিকতা বিরোধী বলেই মনে করেন কাদের।


No comments

Theme images by konradlew. Powered by Blogger.