১৩০৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকার বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে।
১৩০৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকার বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে।
আজ (১ জুন) থেকে শুরু হয়েছে বাজেট অধিবেশন। জাতীয় সংসদে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জন্য ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১৩০৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকার বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। যা গত বছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ৩২৫ কোটি টাকা কম। চলতি অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে সেটি আরও কমতে পারে।
২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৬৩৪ কোটি ৪০ লাখ ৪৯ হাজার টাকা সংশোধিত বাজেট ছিল। পরিচালন খাতে ছিল প্রায় ৮৪৮ কোটি টাকা আর উন্নয়ন খাতে ৭৮৬ কোটির একটু বেশি। চলতি অর্থবছরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে পরিচালন ব্যয় খাতে বেশি বরাদ্দ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। গত বছর যে বরাদ্দ ছিল ৮৪৭ কোটি টাকা, সেই বরাদ্দ এই খাতে এবার ৯২৭ কোটি টাকা।
এদিকে, পরিচালন খাতে বরাদ্দ বেশি দিলেও, উন্নয়ন খাতের বরাদ্দ কমে প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। গত অর্থবছরে ক্রীড়ার উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ ছিল ৭৮৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এবার প্রস্তাবিত বাজেটে এই খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৩৮২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।
চলতি অর্থবছরে পরিচালন ব্যয় ৮০ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেলেও, উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ কমেছে ৪০৪ কোটি টাকা। ফলে গত বছর সংশোধিত বাজেটের চেয়ে এবার প্রস্তাবিত বাজেট কমেছে প্রায় ৩২৫ কোটি টাকার মতো। প্রস্তাবিত বাজেটের চেয়ে সাধারণত সংশোধিত বাজেটের আকার আরও কমে যায়।
প্রসঙ্গত, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধিনস্থ চার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বাজেটের বণ্টন হয়। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ছাড়া বাকি তিনটি প্রতিষ্ঠান ক্রীড়া সম্পর্কিত। ক্রীড়া পরিদপ্তর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খেলাধুলা নিয়ে কাজ করে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অধীনে রয়েছে দেশের সকল ক্রীড়া ফেডারেশন, জেলা ক্রীড়া সংস্থা এবং ক্রীড়া স্থাপনাসমূহ। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আরেকটি অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যেখানে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ক্রীড়াবিষয়ক শিক্ষা দেওয়া হয়। এর বাইরে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আরেকটি বিশেষায়িত সংস্থা বঙ্গবন্ধু ক্রীড়া কল্যাণ সেবী ফাউন্ডেশন। এর মাধ্যমে ক্রীড়াঙ্গনে অসহায় ও অসুস্থ ক্রীড়াবিদদের সহায়তা করা হয়।
No comments