কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না দাদনের অবৈধ অটো রিক্সার কার্ড বানিজ্য
কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না দাদনের অবৈধ অটো রিক্সার কার্ড বানিজ্য।
মো: বাদল
রাজধানীর ব্যস্ততম ওয়ারী বিভাগের অলি-গলিতে চলছে ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সায় বেপরোয়া চাঁদাবাজি। দাদন চক্র মিলেমিশে এসকল অলি-গলি কব্জায় নিয়ে মেতেছেন চাঁদাবাজির বেপরোয়া মহোৎসবে। রাস্তায় এসকল অবৈধ ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা বেপরোয়া চলাচলে যানবাহন ও পথচারীদের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই।
ভুক্তভোগি রিক্সা চালকরা জানিয়েছেন, দাদনের নেতৃত্বে রিক্সা গ্যারাজ মালিকদের থেকে মাসিক রিক্সা প্রতি ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা নির্ধারিত মাসোহারায় কার্ড সংগ্রহের মাধ্যমে চলছে প্রশাসনের নাকের ডগায় অবৈধ অটো রিক্সা থেকে চলছে রমরমা চাঁদাবাণিজ্য।
আমাদের প্রতিবেদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, অবৈধ ব্যাটারি চালিত রিক্সা চালকদের কাছ থেকে প্রতিটি রিক্সার গ্যারেজ মালিকদের মাধ্যমে লাইন খরচ বাবদ মাসে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকার বিনিময় চালকদের হাতে ধরিয়ে দেন অবৈধ কার্ড । ডিসি ডিসি
পাওয়ার সেলের একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়, দৈনিক একটি ইজিবাইক ব্যাটারী চার্জ করতে ৯ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হয়। এতে দৈনিক গড়ে ৩৫০ মেঘাওয়াট বিদুৎ জাতীয় গ্রিড হতে ব্যয় হচ্ছে।
এসব গ্যারেজের প্রতিটি লাইন বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানীর মাঠ পর্যায়ের অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে আর্থিক লেনদেন করে জাতীয় গ্রিড লাইন থেকে চুরি করা বিদ্যুৎ থেকে গ্যারেজ মালিকরা অবৈধভাবে বিদ্যুৎ অপচয় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়ও ওয়ারী বিভাগ এলাকার অসাধু অর্থ লোভী গ্যারেজ মালিকরা নিজ নিজ এলাকায় অবৈধ ব্যবসা প্রসারিত করে বলে জানান একাধিক সূত্র ।
মাঝে মধ্যে অভিযানের নামে পুলিশের ভূমিকা দেখা গেলেও দুই তিন ঘন্টার ব্যবধানে পূর্বের রুপ ফিরে পায় অটোরিক্সা রাজত্ব। দিন দিন অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিক্সার সংখ্যা বেড়েই চলেছে এতে পোহাতে হচ্ছে লোডসেডিং বিদ্যুৎ দূর্ভোগ সহ নাগরিক জীবনে নানাবিধ সমস্যা।
একাধিক রিক্সাচালকের সাথে কথা বলে জানা যায়, সেখানে দাদন তার নিজস্ব বাহিনী দিয়ে মাসিক ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকার কার্ড হাতে ধরিয়ে দিয়ে চাঁদা তোলেন ব্যাটারি চালিত রিক্সা চলাচলের অনুমতি দেওয়ার মাধ্যমে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক সূত্র জানায়, দাদন একসময় যাত্রাবাড়ী থানাধীন কাজলা এলাকায় জুয়ার বানিজ্য করতেন পরে সে রিক্সা চোর সিন্ডিকেটের বেশ কয়েক জন সদস্য সাথে মিলে কার্ড বানিজ্য শুরু করে। বর্তমানে তার কার্ড বানিজ্যে চলছে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা এবং সংবাদকর্মী ও আইনশৃংখলা রক্ষাকারী সদস্য ছত্রছায়ায় থানা-পুলিশের নাকের ডগায় অবৈধ রমরমা বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।
বিষয়টি জানতে অভিযুক্ত দাদনের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ভাতিজি মারা গেছে তাই সে তার কোন মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তোমাদের অনুসন্ধানী পর্বের জন্য চোখ রাখুন আগামী সংখ্যায়।
No comments